ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি নিউজিল্যান্ডের!
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি–২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ খেলায় যোগ্য দল হিসাবেই জিতেছে কিউইরা। অপরদিকে ইনজুরী আক্রান্ত ইংল্যান্ড সেমির বৈতরনী পার হতে ব্যার্থহল। যদিও টুর্ণামেন্ট শুরুকরেছিল বিপুল জয়ের ধারায়।
টসেজিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড।এই টুর্ণামেন্টে নিউজিল্যান্ডের বোলিং ফিল্ডিং সব কিছুই নিখুঁতভাবে এগুচ্ছে। আগে ফিল্ডিং নিয়ে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকেদিয়ে সহজভাবে জিতে নিয়েছে সবগুলো ম্যাচ তারা। শুধু পাকিস্থানের কাছেইহেরেছিল একটি ম্যাচ।
নিউজিল্যান্ড বোলিং আক্রমনের প্রায় সবাই দুর্দান্ত ফর্মেআছেন। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি এবংএডাম মিনকে নিয়ে তাদের শক্তিশালিপেস আক্রমন। ব্যাক আপ হিসাবে আছেনজেমস নিশাম। আজকের ম্যাচে তারা করেছেন ১৪ওভার। বাকি ছয় ওভারেরমধ্যে লেগ স্পিনার ইশসোধী করেছেন ৪ ওভার বল।
এই টুর্নামেন্টে অত্যন্ত সফল মিশেল স্যান্টনারকেদিয়ে করিয়েছেন মাত্র ১ ওভার অধিনায়ককেন উইলিয়ামসন। খেলার পূর্বে যাতে প্রতিপক্ষের গেমপ্লান এলোমেলো করে দেয়া যায়সে ভাবনাতেই হয়ত এমন সিদ্ধান্ত।
পাওয়ারপ্লেরমধ্যে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং পরিকল্পনা মতই এগিয়ে যাচ্ছিল।ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ওপেনার জনিবেয়ারষ্টো দলীয় ৩৭ রানেআউট হন। ১৭ বলেদুটি চার সহ ১৩রান করেন তিনি। ইংল্যান্ডএখানে একটু পিছিয়ে পড়েছেবলেই মনে হয়। বাকিসব ব্যাটার ১০০ এর উপরেষ্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন।
এমনিতেইমারকূটে ব্যাটিং করেন জনি বেয়ারষ্টো।কিন্তু সেমিতে হয়তো অন্য কৌশলেএগিয়ে যাচ্ছিলেন। অপর প্রান্তে জসবাটলার মোটামুটি স্বচ্ছন্দ ছিলেন। কিন্তু ইশ সোধীর একটিসোজা বল ক্রস ব্যাটেখেলতে গিয়ে এলবিডব্লুর শিকারহন।২৪ বলে ২৯ রানকরেন এই টুর্নামেন্টের একমাত্রসেঞ্চুরিয়ান। ৪ মেরেছেন চারটি।
ডেভিডমালান ও মইন আলী এরপর এগিয়ে নেন ইংল্যান্ডের ইনিংস। ডেভিড মালান করেন ৩০ বলে৪১ রান। চারটি চারও একটি বিশাল ছক্কারমার রয়েছে তার ইনিংসে। তবেমইন আলী শেষ পর্যন্তব্যাটিং করে ৫১ রানেঅপরাজিত থাকেন। ৩৭ বলে সাজিয়েছেনতার এই ইনিংস। ২টিছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারিরয়েছে তার ইনিংসে।
মালানআউট হবার পর লিয়ামলিভিংষ্টোনকে পাঠান এউইন মরগান। অথচএই জায়গায় অভিজ্ঞ মরগানই ভাল করতেন। যদিওতিনি ফর্মে নেই এই বিবেচনায়নামেননি। ১০ বলে লিয়ামকরেছেন ১৭। একটি করেচার ও ছক্কাসহ। খেলারপরিস্থিতি বিবেচনায় তখন রান আরেকটুবেশি করা উচিত ছিল
১৬৬রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই১৩ রানে দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দলের দুই সেরাব্যাটসম্যান গাপটিল এবং কেন উইলিয়ামসনফিরে যান অল্প রানে।কিন্তু সেখানে ভড়কে না গিয়ে স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যান ডেরেল মিশেল এবং ডেবিড কনওয়ে। এই দুইজন ৮২ রানের ইনিংসগড়ে ম্যাচ ইংল্যান্ডের কব্জা থেকে অনেকটা বের করে নেন।
কনওয়েআউট হবার পর অল্পরানে ফিলিপও ফিরে যান। এপর্যায়ে ইংল্যান্ডের হয়ে ১৫তম ওভারে বল করেন ইংল্যান্ডের লিভিংষ্টোন। কনওয়ে এবং ফিলিপসকে ফেরান পরপর দুইওভারে। খেলায় ভালভাবে ফিরে আসে ইংল্যান্ড।
সেখানেথেকে সব এলেমেলো করেদেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। মাত্র১১ বলে ২৭ রানেএকটি ক্যামিও খেলে নিউজিল্যান্ডকে নিয়েযান জয়ের একদম কাছে।ক্রিস জর্ডানের এক ওভার থেকেতিনি তুলে নেন ২৩রান।
শেষপর্যন্ত একওভার হাতে রেখেই জিতেযায় নিউজিল্যান্ড। অপেনার মিশেল শেষ পর্যন্ত ৭২রানে অপরাজিত থাকেন। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচওহন তিনিই।
আরও পড়ুন: পাকিস্থানের জয়রথ থামিয়ে ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়া
সেমিফাইনালেইংল্যান্ডকে হারিয়ে এক ঢিলে দুইপাখি শিকার করল নিউজিল্যান্ড। দুইবছর আগে ২০১৯ সালেওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া হল। আরচলতি টি–২০ বিশ্বাকেপরফাইনালেও পৌঁছা গেল এই জয়েরমাধ্যমে।